ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। এদিকে সেই সমাবেশ থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পর জামায়াত নেতাদের বক্তব্য পর্ব চলে ঘণ্টাখানেক। এরপর সুনির্দিষ্ট এলাকা দিয়ে নেতা-কর্মীদের জনসভাস্থল ছাড়তে বলা হয়, তারাও সেই নির্দেশনা অনুযায়ী যার যার অবস্থানে ফিরে যান।
দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান বলেন, অনেক দিন পরে মুক্ত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করতে পারছি। তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এ হরতালের ডাক দেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার শাপলা চত্বরে জামায়াত ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। মিটিং মিছিল করা যে কোনো রাজনৈতিক দলের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। জামায়াতের মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বাস, লঞ্চ ও ট্রেন থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ বেআইনি, অগণতান্ত্রিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। আমি সরকারের এই অন্যায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটিএম মা’ছুম বলেন, অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং জামায়াত ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদান ও মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। হরতালের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য আমি সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি এবং দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।