Wednesday, January 1, 2025
spot_img
Homeবাংলাদেশঅবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার অবিচল: প্রধানমন্ত্রী

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার অবিচল: প্রধানমন্ত্রী

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের অবিচল থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের বর্তমান ও সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের একটি দল আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।

ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরাইশি, মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুওয়াদ তওফিক, শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আর এম এ এল রথনায়েক, নেপালের নির্বাচন কমিশনার সাগুন শুমসের জে বি রানা ও দেশটির সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইলা শর্মা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর বর্তমান ও সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের এই দল ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ) নামের একটি সংগঠনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করছে। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত আইনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই আইনের অধীনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকার নির্বাচন কমিশনকে বাজেটের বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে।

’ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতিমধ্যে সংসদীয় উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ৩০০ আসনে ৭০০ জন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তারা বারবার তাদের প্রার্থী পরিবর্তন করেছে। এমনকি বিএনপি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য ভোটের দিন তাদের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অতীতে সামরিক স্বৈরশাসক ও বিএনপির ‘ভোট কারচুপির’ চিত্র সম্পর্কেও সফররত দলটিকে অবহিত করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, একজন সামরিক স্বৈরশাসক সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এবং সেনাপ্রধান থাকা সত্ত্বেও নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামরিক স্বৈরশাসকেরা অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আরোহণ করেন এবং পরে রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

’বিএনপির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপিতে এখন কোনো নেতৃত্ব নেই এবং এই দলের দুই শীর্ষ নেতা তাঁদের অপকর্ম ও অপরাধের জন্য আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত।

বৈঠকে সফররত দলটির সদস্যরা জানান, বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে।ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কুরাইশি বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অত্যন্ত আস্থাশীল।’

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

Most Popular

Recent Comments