স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে কাতার ইউনিভার্সিটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ‘কাতার ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ ২০২৪’–এর আওতায় স্প্রিং সেমিস্টারের কাতারের শিক্ষার্থীরাও এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। রাজধানী দোহার এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালে শিক্ষার্থী পড়ানো শুরু করে। আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা।
বিদেশি শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি থেকে যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন
– টিউশন ফি নেই।
– পাঠ্যপুস্তকের কেনার জন্য অর্থ।
– প্রতি মাসে ৫০০ কাতারি রিয়েল পাবেন শিক্ষার্থীরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ১৫৫ টাকা (১ রিয়েল সমান ৩২.৩১ টাকা ধরে)।
শিক্ষার্থীরা পাবেন আবাসন সুবিধা। প্রতি কক্ষে দুজন শিক্ষার্থী থাকবেন। ছাত্রাবাস থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতে পরিবহনব্যবস্থা।বছরে একবার নিজ দেশে যাতায়াতে বিমানের টিকিট। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পনসরশিপের অধীন কাতারে বসবাসের অনুমতির সুযোগ।
যোগ্যতা:
• স্নাতকোত্তরে আবেদন করার জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারী ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করার জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে।
• একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে। সিজিপিএ অন্তত ৩.০/৪.০ স্কেলে থাকলে স্কলারশিপ পেতে সুবিধা হবে।
• স্নাতক প্রোগ্রামগুলোয় ভর্তির আবেদনকারী প্রার্থীদের ইংরেজি দক্ষতা প্রয়োজন।
• আইএলটিএস স্কোরের সনদ।
• টোয়েফেল সনদ। গত দুই বছরের মধ্যে একটি টোয়েফল পরীক্ষা বা এর সমতুল্য পরীক্ষা দিয়েছেন, এর সনদ।
• জিআরই/জিম্যাট
• আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের (কাতারের বাইরে থেকে আসা ছাত্রদের) শুধু আইইএলটিএস (একাডেমিক সংস্করণ) পরীক্ষার স্কোর জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
– পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি/ছবি।
– একাডেমিক সব সার্টিফিকেট ও মার্কশিট।
– বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিবরণী।
– দুটি রেফারেন্স লেটার।
– জীবনবৃত্তান্ত।
আবেদনের প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি ৩৫০ কাতারি রিয়াল। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৩০৮ টাকা।
আবেদন করতে ও স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।