প্যারিস যে প্রেমের শহর— এটা বোধকরি নতুন করে উপলব্ধি করলেন লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারের পিএসজি অধ্যায়ের কারণে এ সুপারস্টারের কাছে প্যারিস ছিল অস্বস্তির নাম! সোমবার রাতে শহরে পা রেখে ভক্তদের উষ্ণ অভ্যর্থনার পর শেটেলেট থিয়েটারে হাতে তুললেন অষ্টম ব্যালন ডি’অর।
কাতার বিশ্বকাপ মুঠোভরে দিয়ে গেল আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে। ফুটবলার হিসেবে অমরত্বে সকল শর্ত পূরণের পরও আক্ষেপ ছিল একটা বিশ্বকাপের। তা দূর হয়েছে গেল ডিসেম্বররে। লুসাইল স্টেডিয়ামের স্বপ্নের ট্রফির সঙ্গে গোল্ডেন বলও উঁচিয়ে ধরেছিলেন লিটল জিনিয়াস। ফুটবল ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে দুটি বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছেন মেসি, যা ৩৬ বছর বয়সি তারকাকে ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রেখেছিল। এ স্বীকৃতির পথে বড় বাধা ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ী নরওয়েজিয়ান গোল মেশিন আর্লিং হলান্ড। সে বাধা টপকে পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জয়ী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দূরত্বটা বড় করলেন মেসি।
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার হাতে তোলার মাধ্যমে রোনালদোর সঙ্গে লড়াইটাও জমিয়ে তোলেন মেসি। পুরস্কার জয়ের দৌড়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মেসি ও রোনালদোর মাঝে সমতা ছিল। ২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জিতেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। ২০০৯ সালের পর ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১ সালেও পুরস্কার হাতে তোলেন মেসি। ২০০৮ সালের পর থেকে মেসি ও রোনালদোর মাঝে সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়া দ্বৈরথটা লুকা মদ্রিচ ও করিম বেঞ্জেমার কল্যাণে শেষ বলেই মনে করা হচ্ছিল। ২০১৮ সালে পুরস্কার জিতেছেন মদ্রিচ, ২০২২ সালে জিতেছেন করিম বেঞ্জেমা। মেসি সে ধারণাকে ভুল প্রমাণ করলেন।
গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল— মেসির হাতেই উঠছে এবারের ব্যালন ডি’অর। শেষপর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হল। স্পেন ও বার্সেলোনা মিডফিল্ডার আইতানা বনমাতি নারী বিভাগে সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে মুলার ট্রফি জিতেছেন আর্লিং হলান্ড। রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার জুড বেলিংহাম সেরা তরুণ প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে কোপা ট্রফি জিতেছেন। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়র সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি হিসেবে ইয়াসিন ট্রফি জিতেছেন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। সেরা ক্লাবের স্বীকৃতি পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।