বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশকে খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এমনটি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারকে বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে? এমন অবস্থায় বাংলাদেশি জনগণের ভোটাধিকার থাকা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়া পুরোপুরি অসম্ভব। আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, হাসিনা শেখ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তার বিষয়ে কিছু অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার পরও তিনি একই কাজ করেছিলেন।
এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমার মনে হয়, আমি আপনার প্রশ্নটা বুঝতে পেরেছি। আমরা স্পষ্ট করেই বলেছি, আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রত্যাশা করি, তারা কূটনীতিকদের যথাযথ নিরাপত্তার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এমনটি আমরা সব দেশের সরকারের কাছেই আশা করি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সকল রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের দায়িত্ব রয়েছে। আর আমরা তাই চাই যা বাংলাদেশের জনগণ চায়। বাংলাদেশে যেন শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেদিন ট্রাম্প আর বাইডেন ডায়ালগ করবে, সেদিন আমিও করব’। এ বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন করা হয় মিলারকে।
এ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আগে যা বলেছি সেটি ছাড়া অন্য কোনও মন্তব্য করব না। আমরা বিশ্বাস করি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ।
মিলার বলেন, আমরা জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমরা সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্য, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের (স্টেকহোল্ডার) একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।