বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জরুরি চিকিৎসার জন্য মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক।
চিঠিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক বলেছেন, “খালেদা জিয়ার মুক্তিকে ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হবে। এমতাবস্থায় আমি আপনার সরকারের কাছে তার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য আবেদন করছি। এতে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গিয়ে তার জরুরি এবং বিশেষায়িত চিকিৎসা গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।”
এছাড়া আগামী জানুয়ারি মাসে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কোনো আটক কিংবা গ্রেপ্তার না করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। এ ধরনের কার্যকলাপ বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তুর্ক।
গত ১ নভেম্বর চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে এএফপি। বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগে আক্রান্ত। গত মাসে তিন মার্কিন চিকিৎসক তার সার্জারি সম্পন্ন করেন। কিন্তু তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জার্মানিতে নিয়ে যেতে পরিবারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার
গত ৯ আগস্ট থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিএনপি বেশ কিছুদিন রাজপথে আন্দোলনও করেছে। এমন অবস্থায় বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসে তার যকৃতের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার কিডনি ও হৃদযন্ত্রের জটিলতা বেড়ে গিয়েছিল। সে কারণে তার যকৃতের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।