গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা সত্ত্বেও দখলদার সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পরিকল্পনা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আমিরাতের একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নিজেদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে; গাজায় হামলা বন্ধে ইসরাইলের ওপর কিছুটা প্রভাব রাখার অংশ হিসেবে এ পরিকল্পনা করছে তারা।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আরব আমিরাত।
একটা সময় আরব দেশগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল— স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া তারা ইসরাইলের সঙ্গে কোনোদিন সম্পর্ক স্থাপন করবে না। কিন্তু আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে আরব বিশ্ব।
৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারানোর পর আরব দেশগুলোতে সমালোচনার ঝড় ও বিক্ষোভ শুরু হয়।
গত মাসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর দেশটি প্রকাশ্যে এর নিন্দা জানিয়েছে এবং হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করার ব্যাপারে আরব আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স। সংস্থাটি আমিরাতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন তাদের মূল লক্ষ্য হলো ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো এবং গাজায় মানবিক করিডোর তৈরি করা।
আঞ্চলিক বিষয়াবলীর ওপর আরব আমিরাতের শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। এছাড়া দেশটি নিজেদের মাটিতে মার্কিন সেনাদের অবস্থান করার সুযোগও দিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স