আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় অভিমুখে গণমিছিল এবং পরদিন দেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি রেজাউল করীম।এসময় তিনি নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিলসহ ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, আমরা আমাদের ৩ নভেম্বরের সমাবেশ থেকে দাবি করেছিলাম, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতি যেন সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসে। সরকার সেই দাবির প্রতি কর্ণপাত করেননি।
সেজন্য আমরা আবারো দাবি করছি, এগুলো হলো-
১. অনতিবিলম্বে চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে সব প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
২. রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হওয়া বিরোধী দলের সব নেতাকর্মী এবং ওলামায়ে কেরামকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।
৩. দলান্ধ এই নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করতে হবে।
৪. রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আগে কোবো অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।
এছাড়া এ দাবি জানিয়ে ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। কর্মসূচিগুলো হলো –
১. নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।
২. তফসিল ঘোষণার পরের দিন সারা দেশে প্রতিটি জেলা এবং মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল ।
৩. আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সব কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।
৪. জাতীয় সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম , দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদসহ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।