তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। এটি গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুদ্ধাপরাধ করছে। তিনি ইসরায়েলি নেতাদের এবং তাদের সমর্থক পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে শিগগিরই ক্ষমতা ছাড়তে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
১৫ নভেম্বর, বুধবার তুর্কি পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে এরদোগান বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য হামলার অন্তর্ভুক্ত। পশ্চিমের সীমাহীন সমর্থনে তারা এই নৃশংস হামলা করতে পেরেছে।’
ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র আছে কিনা তা স্পষ্ট করার জন্য নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এরদোগান। তিনি যোগ করেছেন, নেতানিয়াহুকে শিগগিরই তার ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট জার্মানিতে তার পরিকল্পিত সফরের দুই দিন আগে এই বক্তব্য দিয়েছেন। ১৭ নভেম্বর, শুক্রবার তিনি জার্মানি সফরে যাবেন। এ সময় চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তিনি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর প্রথমবার কোনো পশ্চিমা দেশে সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান।
এদিকে হামাসের হামলার পর জার্মানি ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করেছে। তবে গাজা উপত্যকার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সামরিক অভিযানের প্রভাব সীমিত করার দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এরদোগান হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েলি নেতাদের বিচার করার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, ‘তুরস্ক হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনে করে না। এটি একটি রাজনৈতিক দল যা অতীতের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।’ তবে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কিছু আরব রাষ্ট্র হামাসকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে।
এরদোগান এর আগে হামাস সদস্যদের তুরস্কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তুরস্ক সবসময় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
আরও পড়ুন – গাজার জন্য বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণ রেড ক্রিসেন্টকে হস্তান্তর