ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি অবস্থায় থাকা ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মুক্তি এবং উপত্যকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে টেলিফোন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকার জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া যেন আর বিলম্ব না ঘটে— সে সম্পর্কিত আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে।
এছাড়া গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং সেখানে জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ- মানবিক সহায়তা, জ্বালানি এবং জীবনরক্ষাকারী ওষুধ পাঠানো নিয়েও কথা বলেছেন তারা।’
‘টেলিফোনে কাতারের সম্মানিত আমিরকে আমাদের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আজ যেসব ইস্যুতে তাদের আলোচনা হয়েছে— সামনের দিনগুলোতেও এসব ইস্যুতে কাতারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।’
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কয়েক শ’ যোদ্ধা। সেখানে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক লোকজনদের হত্যার পাশপাশি ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় তারা।
জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যুক্ত হয় স্থল বাহিনীও।
হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্করা।
এই যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে হামাস এবং ইসরায়েল— দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কাতার।
সূত্র : রয়টার্স
আরও পড়ুন – কাতারের মধ্যস্থতায় ৩ দিনের যুদ্ধ বিরতিতে যাচ্ছে ইজরাইল ও হামাস