গাজা উপত্যকার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই ছিটমহলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০ নভেম্বর সোমবার উত্তর গাজা উপত্যকায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি গোলাগুলিতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে সরাসরি এবং বারবার বোমা হামলা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে হাজার হাজার রোগী, চিকিৎসা কর্মী এবং বাস্তুচ্যুত মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
এর আগে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি কামানের গোলাবর্ষণে ৮ জন নিহত হয়েছে। এই হাসপাতালে বর্তমানে ১৫০ জন রোগী, ১০০ মেডিকেল কর্মী এবং হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাগুলির কারণে হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর জেনারেটরও বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে আলাদাভাবে, গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার সময় বাস্তুচ্যুত লোকদের লক্ষ্য করে নতুন ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে। তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে হামাস হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ঘটনাকে গুরুতর অপরাধ বলে অভিহিত করেছে। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি এই মুক্তিকামী সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, এতে ১৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে ৯ হাজারের বেশি নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
অবরুদ্ধ এই ছিটমহলে ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গীর্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েল গাজাবাসীদের জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।
অপরদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলার ফলে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। হামাস ২৩৯ জনকে জিম্মি করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
আরও পড়ুন – এশিয়ান কাপ থেকে পাওয়া লাভের টাকা গাজায় দান করবে কাতার