যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন- রাশিয়ার পক্ষ থেকে আসা এমন একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই অভিযোগকে ‘অপব্যাখ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
রাশিয়া অভিযোগ করেছে যে, অক্টোবরের শেষের দিকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বিরোধী দলের উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে তারা দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তার কথোপকথনের সময় এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, কর্তৃপক্ষ “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে” অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করলে তথ্যসহায়তা প্রদান করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই অভিযোগকে “ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন” বলে অভিহিত করেছে। পররাষ্ট্র দপ্তরটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। “বাংলাদেশি জনগণ নিজেদের জন্য যেটা চায়, আমরাও তাই চাই- শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।”
দপ্তরটি আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মীরা সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিন্ন লক্ষ্য পূরণে এবং বাংলাদেশিদের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাতে যোগাযোগ করছে।