কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন যে ‘গাজা উপত্যকায় অতিরিক্ত দুই দিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য একটি চুক্তি হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতি অতিরিক্ত দু’দিনের জন্য বাড়ানোর একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার এবং বুধবার ১০ জন করে; মোট ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে দু’দিনে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা ৬০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন।
গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে চারদিনের যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল, তা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি ওঠে। সেই লক্ষ্যে শুরু হয় জোর আলোচনা।
খবরে বলা হয়, আরও চারদিনের যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষ পর্যন্ত আরও দুইদিনের যুদ্ধবিরতিতে চুক্তিতে পৌঁছেছে পক্ষগুলো।
যুদ্ধের অন্যতম প্রধান পক্ষ হামাস বলেছে, কাতার ও মিশরের সঙ্গে আরও দুইদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, আগের শর্ত মোতাবেকই যুদ্ধবিরতি চলবে।
অন্যদিকে ইসরাইল আগেই জানিয়েছিল, হামাসের হাতে বন্দি নাগরিকদের মুক্তির বিনিময়ে তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে গাজায় আরও ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ তৈরি হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে বলেছেন, চারদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা ত্রাণের পরিমাণ খুবই কম। সাংবাদিক জানান, নতুন করে দুই দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে ফিলিস্তিনিরা স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আরও দুই দিনের যুদ্ধবিরতি মানে ইসরাইলের হামলা থেকে আরও দুইদিনের জন্য বেঁচে যাওয়া।’
আরও পড়ুন – গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোই এখন প্রধান লক্ষ্য- কাতারের প্রধানমন্ত্রী