দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমাদের নির্বাচনে বাইরের থাবা ও হাত এসে পড়েছে। তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে। এজন্য আমাদের অর্থনীতি, গার্মেন্টস ও ভবিষ্যতসহ অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে এ নির্বাচনটা স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে যেভাবে ইউনাইটেড স্টেটস কমাণ্ড করতে পারে, আমি সেভাবে ইউনাইটেড স্টেটস বা ওয়াশিংটনকে হামকি-ধামকি করতে পারছি না। এটা একটা বস্তবতা।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বাইরের ওরা খুব বেশি দাবি করেনি। তাদের একটাই দাবি, বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।এবং এখানে কোনো রকম কারচুপির আশ্রয় নেওয়া যাবে না।
কারচুপির উদাহরণ দিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা অতি সম্প্রতি খুব কষ্ট পেয়েছি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে… ওখানেও সিল মারা হচ্ছে। আমরা সেটা প্রতিহত করতে পারিনি। আমাদের প্রশাসন পারেনি, আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তারাও পারেনি।এটা লজ্জাজনক। তাদের এই সিলমারাটাও আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে যাচ্ছে। এটা মন্দ সংস্কৃতি। পেশিশক্তি ব্যবহার করা, কালো টাকা ব্যবহার করা এবং এই ধরনের কারচুপি করা, দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে আমাদের এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা ছাড়া নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন করতে পারে না। সকলের আন্তরিকতা ও সৎ সাহসিকতা লাগবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাই চোখ কান খোলা রেখে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রথম দফায় ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২৮ নভেম্বর ১০৩ জনের এবং ২৯ নভেম্বর তৃতীয় পর্যায়ে ৯২ জনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ আসনের জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।