ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধা শহীদ ‘তাইসীর আবু তাইমাহ’। যাকে নির্মমভাবে শহীদ করার সময়, ইহুদিবাদীরা ড্রোন দিয়ে সে ফুটেজ ধারণ করেছিল — যুদ্ধের ময়দানে নিজেদের শক্তিশালী ও অপরাজেয় হিসেবে তুলে ধরতে!
অবরুদ্ধ উপত্যকার খান ইউনিসে প্রায় ভেঙে পড়া দুটি ভবনের মাঝে এক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধার জীবনের এমনই এক মূহুর্ত ধরা পড়েছে ইসরায়েলি ড্রোনের ক্যামেরায়।
ভগ্নপ্রায় দেওয়ালে দুহাত ছড়িয়ে রক্তক্ষরণের মধ্য দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার প্রহর গুনছিলেন সেই যোদ্ধা। বুলেট তাঁর পিঠ ছিদ্র করে বের হয়ে গেছে। আশপাশে কোনো সাহায্যকারীর দেখা নেই। বিদায়ের মূহুর্ত সন্নিকটে বুঝতে পারলেন তিনি।আচমকা ডান হাতের তর্জনী তুলে ধরলেন। এরপর জীবনের শেষ শক্তিটুকু ব্যয় করে সোজা হয়ে বসলেন আর রাস্তার রক্ত মাখা কংক্রিটের মাঝে সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন এবং এভাবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন।
হামাসের এই যোদ্ধা কুরআনের হাফেজ ছিলেন এবং জিহাদ শুরু হওয়ার আগে তিনি গাজার বানী সাহীলাহ নামক এলাকায় দীর্ঘদিন একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইহুদিবাদীদের হাত থেকে আল-কুদসকে মুক্ত করার জিহাদে তিনি সিজদারত অবস্থায় শাহাদাতবরণ করেছেন। এর চেয়ে উত্তম পরকাল যাত্রা আর হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা এই শহীদের রক্ত কবুল করুন।
এমন বিদায় মানুষের স্বপ্ন হয়ে থাকে! খুব কম মানুষই এমন সৌভাগ্য আর মর্যাদা পূর্ণ বিদায় নিয়ে যেতে পারেন পৃথিবী থেকে। উত্তপ্ত রণাঙ্গনের মাঝে গুলির আঘাতে সিজদারত অবস্থায় দুনিয়া ত্যাগ! আল্লাহ তায়ালা তার শাহাদাতকে কবুল করুন, আমিন।