সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। তিনি ওই বইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ অংশের পাতা ছিঁড়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
দেশের নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা করায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সভায় মিলিত হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেতৃস্থানীয়রা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আসিফ মাহতাবকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন তিনি।ফেসবুক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহতাব লিখেছেন, আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে (রাত ১১টা) এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস না নিতে না যাই। আমি জানি না, হঠাৎ কেন তারা এই সিদ্ধান্ত নিল। আমাকে কোনো কারণ জানানো হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার। ওইদিন রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম।
ওই অনুষ্ঠানে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে আসিফ মাহতাব বলেন পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসিফ মাহতাবের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।