প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রতি ডলারের বিপরীতে তাদের বাড়তি টাকা দেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আলোকে প্রবাসীরা বর্তমান বিনিময় হারের সঙ্গে বাড়তি ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। এর মধ্যে সরকার থেকে দেওয়া হচ্ছে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। এর সঙ্গে আরও আড়াই শতাংশ পাবেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে। এই দুই প্রণোদনাসহ প্রবাসীরা প্রতি ডলারের বিপরীতে এখন পাবেন ১১৫ টাকা ৫৭ পয়সা। আগে পেতেন ১১২ টাকা ৭৫ পয়সা। এই দফায় প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ২ টাকা ৮১ পয়সা বেশি।
রোববার থেকে প্রবাসীদের প্রতি ডলারে বাড়তি অর্থ পাওয়ার নীতি কার্যকর করার কথা ছিল। তবে অনেক ব্যাংকই তা কার্যকর করেনি।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতিও রয়েছে। তবে এ বিষয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো চিঠি যায়নি।
এদিকে চিঠি ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা নিয়েও গড়িমসি রয়েছে। তবে কিছু ব্যাংক আগে থেকে ১১৪ থেকে ১১৬ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে। বাফেদা ও এবিবির এ সিদ্ধান্তের ফলে তাদের বাড়তি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনা বৈধতা পাচ্ছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোতে ডলারের নতুন দাম কার্যকর হয়। ওই সময়ে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১১০ টাকা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনছে। এর সঙ্গে সরকারি খাতের প্রণোদনা বাবদ পাওয়া যাচ্ছে আড়াই শতাংশ। ফলে প্রতি ডলারের দাম পাচ্ছেন ১১২ টাকা ৭৫ পয়সা। এর সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দিতে পারে আরও আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। তবে এটি দিতে সব ব্যাংক বাধ্য নয়। ব্যাংকগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে এ অর্থ দিতে পারবে। ব্যাংকের ডলারের চাহিদার ভিত্তিতে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সম্প্রতি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে এ খাতে প্রণোদনা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া হুন্ডিতে ডলারের দাম আরও বেশি। হুন্ডিতে রেমিট্যান্স এলে প্রবাসীরা পাচ্ছেন গড়ে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা। এ প্রণোদনার ফলে কার্ব মার্কেটের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর ডলারের দামের ব্যবধান কিছুটা হলেও কমবে।